শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা, জীবননগর উপজেলায় সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। অভিযোগ উঠেছে ওই গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তিন ঘণ্টা আটকে রেখে ধর্ষণ করেন চারজন যুবক।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে জীবননগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।মামলার আসামিরা হলেন- সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের লাল্টু মল্লিক (৩০), খালিদ হোসেন (২২), আব্দুল জব্বার (১৮) ও একরা মন্ডল (৪৫)। অভিযুক্ত সবাই ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন। পুলিশ তাদের আটকে অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছে। মামলার এজাহার সূত্র থেকে জানা যায়, ওই গৃহবধূ শনিবার রাতে তার বৃদ্ধা শাশুড়িকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ছিলেন। আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ির ভেতরে অবস্থিত টিউবওয়েলে পানি আনতে যান তিনি। এ সময় চার আসামি বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা গৃহবধূকে তুলে পাশের ছুঁতার মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই গৃহবধূ তার স্বামীকে ফোন দিলে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করেন। এক পর্যায়ে ঘটনাটি জানাজানি হলে গৃহবধূ শনিবার রাতেই ওই চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।এ বিষয়ে, সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে। তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবিদ হাসান বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এরইমধ্যে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।