ময়মনসিংহের ফুলপুরে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৭ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সিংহেশ্বর গ্রামের ফুলচান দাস ও লক্ষ্মী রানী দাসের পুত্র শ্রী রতন দাস এ অভিযোগ করেন।
জানা যায়, এক বছর আগে পুড়াপুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে লোক নিয়োগের জন্য প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শ্রী রতন দাস নামের একজন প্রার্থী আবেদন করেন। পুড়াপুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিলে রতন দাস ৩টি কিস্তিতে নগদ ৭ লক্ষ টাকা দেন। সকল কিস্তির টাকা দেওয়া হয় প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ফারুক ও সিনিয়র শিক্ষক সাইফুলের কাছে।
পরবর্তীতে রতন দাস নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। নিয়োগপত্র পেয়ে তিনি নির্দিষ্ট তারিখে বিদ্যালয়ে যোগদান করে নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেও তাকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেওয়া হয় নাই। এক সপ্তাহ পর প্রধান শিক্ষক কাগজপত্রের সমস্যার কথা বলে রতন দাসকে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করেন ও তার দেওয়া টাকা ফেরত দিবেন বলে জানান।
দীর্ঘ ১০ মাসে এক টাকাও ফেরত দেওয়া হয় নাই। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে গ্রাম্য সালিশ দরবারে উভয় শিক্ষক টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও এ পর্যন্ত টাকা ফেরত না পেয়ে ভুক্তভোগী রতন দাস গত ১৫ আগস্ট ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে পুড়াপুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার মাধ্যমে ৭ লক্ষ টাকা প্রধান শিক্ষকের কাছে দিয়েছেন বলে জানান। এ সময় সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ দেওয়ার কথা বলে বিদ্যালয় উন্নয়নের নামে তার নিকট থেকেও ৪ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ফারুক জানান, তিনি কোনো টাকা নেননি। সিনিয়র শিক্ষক সাইফুল ইসলাম তার কাছ থেকে জোরপূর্বক কাগজপত্রে স্বাক্ষর আদায় করেন।
এছাড়া সিনিয়র শিক্ষক সাইফুল ইসলাম প্রায়ই তার নাম ভাঙ্গিয়ে চাকরির নামে বিভিন্ন জনের কাছে টাকা নিয়ে থাকেন বলেও তিনি জানান।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাসরিন আক্তার জানান, অভিযোগ পেয়েছি আগামী ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ফারুক ও সহকারী সিনিয়র শিক্ষক সাইফুল ইসলাম কে উপস্থিত হয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল এর পরই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।