বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উত্তাপ শেষ হতে না হতেই ভারতের অঙ্গরাজ্য কলকাতাতে ছড়িয়ে পড়েছিল চিকিৎসকে ধর্ষণ-খুনের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীসহ সব পেশার মানুষের আন্দোলন। আন্দোলনের মুখে কলকাতায় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। অভিযুক্তের বৃদ্ধ মা আগে থেকেই ছেলের এমন কুকীর্তির কথা শুনে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেছেন।
শুধু তাই নয়, তার দুই বোনও ভাইয়ের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখতে চান না। তাদেরই একজন জানালেন, ফাঁসি হলেও তারা তাদের ভাইয়ের মরদেহ ফেরত নেবেন না।
সঞ্জয় রায়ের দুই বোন বর্তমানে পুলিশে কর্মরত আছেন। তাদের প্রভাবেই ভাইয়ের এই অবস্থা বলে দাবি অনেকের। কিন্তু তা মানতে নারাজ তাদেরই একজন। সংবাদমাধ্যমকে ফোনে সঞ্জয়ের বোন বলেন, ওকে নিজের ভাই বলে পরিচয় দিতেও লজ্জা লাগে। ওর এত কুর্কীতি যে বাধ্য হয়েই আমরা ওর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখিনি।
ভাইয়ের কঠিন শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, আর জি করে ও যে নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে ওর কঠিন শাাস্তি হওয়া উচিত। তবে সবার কাছে একটাই অনুরোধ, আপনারা ওকে নিয়ে যা খুশি করুন। দয়া করে ওর মরদেহ আমাদের দেবেন না। আমরা নেবো না। এমন মানুষের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখা যায় না।
সঞ্জয়ের মা মালতিদেবীরও আক্ষেপের শেষ নেই। ছেলে মেধাবী ছিল বলে দাবি করে তিনি বলেন, টিভিতে ছেলের সম্পর্কে কত কিছু শুনছি। কিন্তু বিশ্বাস করুন, ছেলে আমার এমন ছিল না। ছোট থেকেই ক্লাসে টপার ছিল। কোথা থেকে কী যে হয়ে গেল। ওকে কেউ ফাঁসিয়ে দিতে পারে।
শনিবার সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করেছে সিবিআই। ইতোমধ্যেই তার ফাঁসির দাবিতে তোলপাড় হয়ে উঠেছে পুরো দেশ।