লম্বা ছুটি শেষে, বুধবার (৩ জুলাই) সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হলেও বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকায় পাঠদান কার্যক্রম স্থগিত ছিলো বলে জানা গেছে। ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশের কারণে গত ১৩ জুন থেকে ২০ দিন বন্ধ ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়।ছুটি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে আজ। তবে দেশের কিছু অঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। সেসব এলাকায় স্থানীয়ভাবে সমন্বয় করে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেবে। পরে শিখন ঘাটতি পূরণের জন্য শুক্রবার ও শনিবার ক্লাস করে তা পুষিয়ে নেবে। দুর্যোগকালীন বিদ্যালয়ের প্রতি এমন নির্দেশনা আগেই দেওয়া হয়েছে।’বিশেষ করে বাংলাদেশের সিলেট জেলায় বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ। সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাখাওয়াত বলেন, যেসব জায়গায় বন্যার পানি উঠেছে সেসব জায়গায় স্কুলের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলে পাঠদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম গত ২৬জুন থেকে শুরু হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি বহাল থাকে ২জুলাই পর্যন্ত। নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সংক্ষিপ্ত করার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া যুক্তিমতে, অতি শীত ও অতি তাপপ্রবাহের কারণে বছরব্যাপী কমেছে পাঠদানের কর্মদিবস। এখন থেকে শুক্রবারের পাশাপাশি শনিবারও সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। ফলে কর্মদিবস আরও কমে যাচ্ছে। তাই এবারের গ্রীষ্মের ছুটি এক সপ্তাহ কমিয়ে দেওয়া হয়।বাংলাদেশের সিলেট জেলায় কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে তৃতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে জেলার ১৩ উপজেলায় ৯৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে ৭ লাখ ১১ হাজার ২২৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।১ জুলাই (সোমবার) থেকে সিলেটে তৃতীয় দফায় পানি বাড়তে থাকে। আর গতকাল মঙ্গলবার থেকে দেখা দেয় বন্যা। গতকাল দুপুর থেকে বৃষ্টি কমলেও সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার সব পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।