শেরপুর জেলা, নকলা উপজেলা, চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের জননন্দিত চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান (গেন্দু) নিজ অর্থায়নে ২৭০০ কেজি চাউল কিনে জনতার মাঝে বিলিয়ে দিলেন।
আজ ৮এপ্রিল (সোমবার) সকাল ৮ ঘটিকা হয়তে ডিজিএফ এর অর্থায়নে ১৯,৭০০ কেজি চাউল ১৯৭০ জন পরিবারের মাঝে বিতরণ করার কথা থাকলেও ২২,৪০০ কেজি চাউল ২২,৪০ জন পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়।
চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে প্রায় ২৬হাজার ভোটার। অত্যান্ত ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল হওয়ায় এখানে দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সংখ্যা অনেক বেশি। ইউনিয়নের জনগণের চাহিদার তুলনায় ১৯৭০ টা স্লিপ অনেক কম, যার প্রেক্ষিতে ২৭০ টা স্লিপ বেশি বিতরন করে, মোট ২২৪০ স্লিপ বিতরন করা হয় এবং বরাদ্দকৃত চাউলের চাইতে ২৭০০ কেজি চাউল বেশি কিনে জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেন চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান (গেন্দু)।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান গেন্দু বলেন, আসলে আমার ইউনিয়নে যে হারে দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার সেই হারে ডিজিএফের চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। যার কারণে আমি নিজ অর্থায়নে ২৭০ জন পরিবারের মাঝে (২৭০০ কেজি) চাউল কিনে বিতরণ করি। তিনি আরো বলেন আজ বাদে কাল পবিত্র ঈদুল ফিতরের(ঈদ) দিন, আমার ইউনিয়নে এই আনন্দের দিনে কেউ না খেয়ে থাকবে তা মেনে নেওয়ার মতো না। আমার ইউনিয়নের দরিদ্র জনসংখ্যা না খেয়ে থাকবে, আর আমি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করবো তা হয় না, সেই চিন্তা থেকে আমি নিজ অর্থায়নে ২৭০টা স্লিপ বেশি বরাদ্দ দেয়।
ভোক্তভোগী দরিদ্র পরিবারের কর্তা মোঃ জয়নাল, মোঃ কাশেম ও রিনা বেগম বলেন গেন্দু চেয়ারম্যান অনেক ভালো মানুষ তার উদারতার কারনে আমাদের মতো দরিদ্র পরিবার আজ ১০ কেজি করে চাউল পেল, সেজন্য আমরা অনেক খুশি।
