আসন্ন নকলা উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনের জন্য সম্মেলন এখনো নির্ধারণ না হলেও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন, বিএনপি বার বার কারা নির্যাতিত মোবারক হোসেন মাষ্টার । তিনি নকলা উপজেলা ৪ নং গৌড়দ্বার ইউনিয়নের মৃত শামছুদ্দিন সরকারের ছোট ছেলে। বাবা একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গুনিজন নকলা উপজেলার সাবেক ৪ নং কুর্শাবাদাগৈর ইউনিয়নের সুপরিচিত ,আদর্শ গুনী বেক্তি ।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর ) বিকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বিএনপি নকলা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক পদে এই প্রার্থিতার কথা ঘোষণা করেন।
মাস্টার বলেন, ২২ বছরের শিক্ষকতা জীবনে আওয়ামী লীগের শাসনামলে ১৩ টি মামলা সহ বার বার কারা নির্যাতিত ও রিমান্ড সহ ৩ বার চাকরি হতে সাসপেন্ড হই এবং দুই- দুইবার ৪নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরও স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার আমার কাছ থেকে চেয়ারম্যান পদটি ছিনিয়ে নেয়। আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অদশ্যে রাজনীতি করে আসছি।
৫ আগষ্টের আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর নকলা উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন করা হয় সেখানে সকলের সম্মিতি ক্রমে আমি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই । ৪ নং গৌড়দ্বার ইউনিয়নের যুব দলের সাবেক আহ্বায়ক নকলা উপজেলা বিএনপির এ পর্যন্ত ৩ বার প্রস্তাবিত কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদস্য হিসেবে ছিলাম।
তিনি জানান, প্রায় ১৭ বছর উপজেলা বিএনপির কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও অদ্যবধি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। আশা করি সামনে জেলা কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দিবেন। স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ দলের হাই কমান্ডের কাছে আমার প্রত্যাশা, তারা আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করবেন।
মোবারক হোসেন মাষ্টার আরো বলেন, আমি বাল্যকাল থেকেই দেখেছি, আমার পরিবার স্বাধীনতা ঘোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তার সহধর্মিণী তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার সাহসী সন্তান বাংলাদেশ তরুণ প্রজন্মের অহংকার যার হাত ধরে বাংলাদেশ আলোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে যার আহ্বানে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামকে সমর্থন করে আসছে, তারই ধারাবাহিকতায় ছাত্র জীবন থেকেই আমি ইউনিয়ন ও উপজেলা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। দলের নীতি নির্ধারক মহলের সিদ্ধান্তে দলের নেতৃবৃন্দ আমাকে যখন যে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি সফলতার সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করেছি। আমি দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশ বিএনপি উপজেলা প্রস্তাবিত কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ছিলাম বর্তমানে বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে আরো সম্পৃক্ত হতে চাই। দলের নেতাকর্মীদের আগ্রহে ও তাদের উৎসাহ, অনুপ্রেরণায় আমি নকলা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি। দলের নেতৃবৃন্দ যদি আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করেন, তাহলে আমি আমার মেধা, মননশীলতা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি তৃণমূল পর্যায়ে আরো বেশী সু-সংগঠিত করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী খালেদা জিয়া ও বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে অধিকতর শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাবো।