টিসিবি পণ্য বিতরণে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার সংক্রান্ত একটি নোটিশ প্রদান করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর। সেখানে পরিস্কার ভাষায় লেখা আছে নিষিদ্ধ পলিথিনের পরিবর্তে পাটের কিংবা কাপড়ের পুনঃব্যবহার যোগ্য ব্যাগের ব্যবহারের কথা।
নোটিশটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-
স্মারক নং-২২.০২.০০০০.০০১.০৬.০০২.১৯-১৫
তারিখ-৩০.০৪.২০২০ খ্রি.
বিষয়ঃ টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব পাটের কিংবা কাপড়ের পুনঃব্যবহার যোগ্য ব্যাগ ব্যবহার সংক্রান্ত।
“উপযুক্ত বিষয়ে সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ পরিবেশ সংক্রান্ত আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত -২০১০) অনুসারে দেশে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, মজুদ, পরিবহন, বিপণন এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ ও দন্ডনীয় অপরাধ। বর্তমানে দেশে বিদ্যমান কোভিট-১৯ মহামারী পরিস্থিতিতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক নির্ধারিত ডিলারের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমে পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে।এর ফলে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন এবং ব্যবহার উৎসাহিত হতে পারে । উল্লেখ্য টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমে পরিবেশ বান্ধব ব্যাগের ব্যবহার একদিকে যেমন সর্বসাধারণের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতার সৃষ্টি করবে ,অন্যদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশীয় পরিবেশ বান্ধব শিল্পের বিকাশে সহায়ক হবে।
বর্ণিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে , টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব পাটের কিংবা কাপড়ের পুনঃব্যবহার যোগ্য ব্যাগের ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
(ড. এ, কে, এম, রফিক আহাম্মদ), মহাপরিচালক।
উপজেলার বেশ কয়েকজন সচেতন নাগরিকের কাছে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চাইলে, তারা বলেন বাংলাদেশের আইন শুধু বইয়ে লিপিবদ্ধ করে রাখার জন্য না, মাঠে প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা।