দীর্ঘ ১৪ বছর পর ব্রিটেনের ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে লেবার পার্টি। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে প্রকাশিত বুথ ফেরত জরিপে বিরোধী দল লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার আভাস পাওয়া গেছে। । ভোট গণনার পর এ আভাসই সত্য হলো। দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কিয়ার স্টারমার। ফল গণনা শেষে ৬৫০ আসনের হাউস অব কমেন্সে ৩২৬টিরও বেশি সিট পেয়ে জয় নিশ্চিত করেছে লেবার পার্টি। কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ঋষি সুনাক পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ঋষি এরই মধ্যে স্টারমারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিরোধী দল লেবার পার্টি ৩৬২ আসনে জয়ী হয়েছে। আর কনজারভেটিভ পার্টি ৮৩টি আসনে জয় পেয়েছে। আর লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি জয় পেয়েছে ৫১টি আসনে।নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ অন্তত ৩২৬টি আসনে জয় পেতে হবে। লেবার পার্টি ইতোমধ্যেই সেই ম্যাজিক ফিগার পার করেছে। আশা করা হচ্ছে, সংখ্যাগরিষ্ঠার দিকে দিয়ে লেবার পার্টি ৪১০টি আসনে জয় পাবে। আর কনজারভেটিভ পার্টি জয় পেতে পারে ১৩১ আসনে।ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে ফলাফলে লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ জয়ের অর্থ হচ্ছে কিয়ার স্টারমার দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। নিজের আসনে জয়ের পর স্টারমার বলেছেন, ‘এখান থেকেই পরিবর্তনের শুরু।’এটা আমাদের জন্য দেয়ার সময়’।লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিনও নিজের আসনে জয় পেয়েছেন। তবে জর্জ গ্যালাওয়ে নিজের আসনে হেরে গেছেন। রিফর্ম ইউকে দলের নেতা নাইজেল ফারাজ প্রথম বারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।২০১০ সালের পর দীর্ঘ ১৪ বছর লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আবারও ডাউনিং স্ট্রীটে একজন লেবার প্রধানমন্ত্রী আসতে চলেছেন। অন্যদিকে কনজারভেটিভদের মধ্যে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে লড়াই হবে কারণ ঋষি সুনাক নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে মনে হচ্ছে। কনজারভেটিভ অর্থাৎ টোরিরা লিবারেল ডেমোক্র্যাট ও নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকে পার্টির দিক থেকেও চ্যালেঞ্জের মুখে আছে। কারণ এ দল দুটি আগের চেয়ে বেশী আসন পাচ্ছে বলে দেখা যাচ্ছে।নির্বাচনী ফল ঘোষণার পর এখন লেবার পার্টিকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। সেক্ষেত্রে শুক্রবারই রাজার কাছে পদত্যাগ জমা দিতে পারেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। আসছে আগামী ৯ জুলাই (মঙ্গলবার) পার্লামেন্টে শপথ নেবেন নবনির্বাচিত আইনপ্রণেতারা। এরপর নির্বাচিত হবেন নতুন স্পিকার। ১৭ জুলাই রাজা তৃতীয় চার্লসের উদ্বোধনী ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পার্লামেন্টের অধিবেশন।