প্রেম মানে না জাত-কুজাত, মানেনা কোনো বাঁধা। যে কোন বয়সের যে কেউ প্রেমে পড়তে পারেন। বয়সের পার্থক্য প্রেমের ক্ষেত্রে কেবল একটা সংখ্যা মাত্র। চলচ্চিত্রেও প্রেমিক-প্রেমিকা যুগলের অসম বয়স থাকা সত্ত্বেও সমালোচকদেও সমালোচনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন অনেকেই। এ রকম রেকর্ড অনেক আছে। শিক্ষিকা বিয়ে করেছে ছাত্রকে। এমন ঘটনার কথা শোনা গেছে ইতোপূর্বেও এবার শিক্ষিকা ও ছাত্রের অসম বয়সের প্রেম ও বিবাহের এমন ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায়।টাঙ্গাইল পলিটেকনিক এর সাবেক শিক্ষিকা মাতলুবা ইয়াসমিন মিতু কাজী অফিসে গিয়ে একই প্রতিষ্ঠানের প্রথম বর্ষের ছাত্র আব্দুর রহিম রানাকে বিবাহ করেন। এ তথ্য শোনার পর ছাত্রদের মনে চাঞ্চল্যকর এবং গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়। পরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সেই সাথে বিয়ের প্রমাণপত্র ও তাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং শিক্ষদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তাদের বিয়ের ঘটনা জানাজানি হওয়ায় এলাকায় হইচই পড়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, সাবেক খন্ডকালীন শিক্ষিকা মাতলুবা ইয়াসমিন মিতু টাঙ্গাইল পলিটেকনিক কলেজের খণ্ডকালীন শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাড়ী ঘাটাইল উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামে।অন্যদিকে আব্দুর রহিম রানার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নে। সে টাঙ্গাইল পলিটেকনিক এর টেলিকমিনিকেশন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তার বিবাহের প্রমাণপত্রে সূত্র অনুসারে জানা যায়, তার পিতা- শমসের আলী, মাতা- আসিয়া খাতুন।অতি সম্প্রতি তাদের বিয়ের খবর জানাজানি হলে এলাকায় হইচই পড়ে যায়। বর্তমানে সে আব্দুর রহিম রানার বাড়িতে বসবাস করছেন এই দম্পতি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘনিষ্ঠজনরা জানান, টাঙ্গাইল পলিটেকনিক এর টেলিকমিনিকেশন টেকনোলোজির বিভাগের সাবেক খন্ডকালীন শিক্ষিকা প্রথম বর্ষের ছাত্র আব্দুর রহিম রানার সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। এরপর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এই বিয়ের পর রানার পরিবার মেনে নেয়। সামাজিকভাবে বিভিন্ন মহলে নানা কুৎসিত মন্তব্যের তোয়াক্কা না করে নতুন করে সংসার শুরু করেছেন তারা। আজীবন রানাকে নিয়ে সুখে থাকতে চান ওই শিক্ষিকা।আব্দুর রহিম রানা জানান, মন্তব্য কখনও কখনও গন্তব্য ঠেকাতে পারেনা। কে, কি বললো সেগুলো মাথায় না নিয়ে নিজেদের মতো সংসার গুছিয়ে নিয়ে জীবন শুরু করেছি। সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।