বাজার, মহল্লায়, রাস্তা, ঘাটে, স্টেশনে বা পার্কে যে ভিক্ষুকরা ভিক্ষার উদ্দেশ্যে বসে থাকে তারা অনেক সময় পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সালাম দেয়। ভিক্ষুকদের এ রকম সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব নয়। অনেক সময় এমনো হয় প্রচারকর্মী, ফুটপাতের ক্যানভাসার বা বিক্রেতা লোক জড়ো করার জন্য বা দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সালাম দেয়, তাদের সালামের উত্তর দেওয়াও ওয়াজিব নয়।প্রকৃত অর্থেই কোনো ভিক্ষুক বা ক্যানভাসার যদি সালাম দেয় এবং সালামকে ভিক্ষা, প্রচার বা বিক্রির মাধ্যম না বানায়, তাহলে তার সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব।হাদিসে বর্ণিত হয়েছে সালাম অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ আমল। আমাদের রাসুল হযরত মোহাম্মদ (সা.) বেশি বেশি সালাম দিতে উৎসাহিত করে বলেছেন সালাম মুসলমানদের পারস্পরিক সৌহার্দ ও ভালোবাসা বাড়ায়। নবিজি (সা.) বলেন,والَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ تَدْخُلُوا الجَنَّةَ حَتّٰـى تُؤْمِنُوا وَلاَ تُؤْمِنُوا حَتّٰـى تَحَابُّوا أوَلاَ أدُلُّكُمْ عَلٰـى شَيْءٍ إِذَا فَعَلْتُمُوْهُ تَـحَابَبْتُمْ أفْشُوا السَّلَامَ بَيْنَكُمْসেই সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ! তোমরা মুমিন না হলে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না আর পরস্পরে সৌহার্দ ও ভালোবাসা না রেখে তোমরা মুমিন হতে পারবে না। আমি তোমাদের এমন কাজের কথা বলছি যা তোমাদের পারস্পরিক সৌহার্দ বৃদ্ধি করবে, নিজেদের মধ্যে বেশি বেশি সালাম দাও। (সহিহ মুসলিম: ২০৩)কিছু কিছু জরুরত অবস্থায় সালাম দেওয়া নিষিদ্ধ। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, এক ব্যাক্তি একবার নবিজিকে (সা.) প্রশ্রাবরত অবস্থায় সালাম দিলো। নবিজি প্রয়োজন পূরণ শেষ করে অজু করার পর তার সালামের উত্তর দিলেন এবং বললেন,إِذَا رَأَيْتَنِي عَلَى مِثْلِ هَذِهِ الْحَالَةِ فَلاَ تُسَلِّمْ عَلَىَّ فَإِنَّكَ إِنْ فَعَلْتَ ذَلِكَ لَمْ أَرُدَّ عَلَيْكَআমাকে এ অবস্থায় দেখতে পেলে সালাম দিও না। এ অবস্থায় আমি তো তোমার সালামের উত্তর দিতে পারবো না। (সুনান ইবনে মাজা: ৩/৩৫২)