গাজীপুরের কালীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদি মিছিল চলাকালে সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপি নেতা খুন হয়। এ সময় আরো ১০/১২ জন আহত হয়।
গতকাল শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ টায় মোক্তারপুর ইউনিয়নের নাসু মার্কেট এলাকার মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আনুমানিক সকাল সাড়ে দশটার সময় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির নেতৃত্বে একটি মোটর সাইকেল মিছিল স্থানীয় নসু মার্কেট হয়ে পশ্চিম দিকে যায়। পরে মিছিলটি পূর্বদিকে যাওয়ার সময় মজিবুর রহমানের ছেলে নাজুক বাধা দেয়। তাদের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়ে যায়। পরে কাপাসিয়া উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের খিলগাঁও এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে মোরশেদ, নজরুল ইসলামের ছেলে সিয়াম, নুরু শেখের ছেলে আজিজুল, মানিকের ছেলে সোহেল ও সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মারুফ লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করলে মোক্তাপুর ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক (আকলু) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহত আকলু মোক্তারপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় বিএনপির জহিরুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, মজনু শেখ, বিল্লাল হোসেন, তাজুল ইসলাম, সামছুল সেখ ও নুরুল ইসলাম আহত হয়েছেন। এদের মাঝে ৩জনকে কালীগঞ্জ উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে চলে যায়।
খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ নসু মার্কেট জামতলা গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় গাজীপুর জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক এমপি একে এম ফজলুল হক মিলনসহ নিহত আকলু বাড়িতে গিয়ে স্বজন দের শান্তনা দেন এবং নেতৃবৃন্দ থানায় গিয়ে নিহতের বিষয়ে খোজ খবর নেয়। এবং অনতি বিলম্বে অভিযুক্তদের আটক করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাতাব উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখনো কোন অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।