গাজীপুরের কালীগঞ্জে পূর্ব শক্রুতার জের ধরে গাছ কেটে ১০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গত ১৫ আগষ্ট রাতে কালীগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড চৈতারপাড়া গ্রামের মৃত ফাইজদ্দিন এর ছেলে মো. কামাল হোসেনের বাড়ীতে ঘটেছে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড চৈতারপাড়া গ্রামের মৃত ফাইজদ্দিনের ছেলে কামাল হোসেনের সাথে তার ছোট ভাই মো. জামাল হোসেন ও তার স্ত্রী কেয়া সুলতানা @ সোলেমা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ করে আসছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে কামাল হোসেন কালীগঞ্জ থানায় গত ২৮ ফেব্রæয়ারী তারিখে ১৪০০ নম্বর সাধারণ ডায়েরী করেন। তারই জের ধরে জামাল হোসেন ও তার স্ত্রী কেয়া সুলতানা @ সোলেমা বেগম গত ১৫ আগষ্ট রাতে কামাল হোসেনের বাড়ীর পূর্ব পাশের জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া দশ হাজার টাকা মূল্যের একটি আম গাছ কেটে নিয়ে যায়। কামাল গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে জামাল হোসেন ও কেয়া সুলতানা @ সোলেমা বেগম তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের হাতে থাকা সেন ও সাবল দিয়ে হাত ও পেটে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় কামাল হোসেন এর সাথে থাকা মো. জাকির হোসেন ও সামসুন্নাহারের ডাক চিৎকারে স্থাণীয়রা এসে কামাল হোসেনকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করে চিকিৎসা করেন। এ বিষয়ে মো. কামাল হোসেন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে আহত কামাল হোসেন বলেন, আমার ছোট ভাই ও তার স্ত্রী জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের সাথে শক্রুতা করে আসছে। গত ১৫ আগষ্ট রাতে তারা আমার জমি থেকে একটি গাছ কেটে নিয়ে যায়। আমি এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে গেলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে ছেন ও সাবল দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ দিলে আমি হাত দিয়ে তা প্রতিহত করার সময় আমার হাতে ও পেটে রক্তাক্ত জখম হই। এ বিষয়ে আমি বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. জামাল হোসেন বলেন, বড় ভাই মো. কামাল হোসেন এর সাথে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। ১৫ তারিখে আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কামাল ভাই আহত হয়। অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দুঃখিত।এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার এস আই মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, কামাল হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।