গাজীপুরের কালীগঞ্জ পারুলী নদী থেকে তাওহীদ (১৩) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাতাব উদ্দিন।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের মাঝুখান গ্রামের প্রবাসী কাউসার মিয়ার ছেলে তাওহীদ (১৩) উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের নরুন হিজবুল্লাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানায় লেখাপড়া করত। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে মাদ্রাসার পাশে ফাইজুল্লাহ আকন্দের দোকান থেকে না বলে একটি কেক খাওয়ার অপরাধে তাকে আটক করে দোকানের মালিক ফাইজুল্লাহ মারধর করে। পরে মাদ্রাসার শিক্ষক তাকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলে বিকালে তাওহীদ নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজের একদিন পর বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নরুন এলাকার পারুলী নদীতে কৃষকরা একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খরব দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ভাসমান অবস্থায় তাওহিদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে নিহত তাওহিদের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার এস আই ফজলুল হক বলেন, সংবাদ পেয়ে নরুন এলাকার পারুলী নদী থেকে ভাসমান আবস্থায় একটি লাশ উদ্ধার করি। পরে তাওহীদের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশটি তাওহীদের বলে শনাক্ত করেন। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাতাব উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।