গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আবারও সাংবাদিকদের কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে জানিয়েছেন, বোবা হয়ে আছেন, কোনো কথা বলতে পারছেন না। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরা শেষে প্রিজনভ্যানে তোলার সময় তিনি সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।উপস্থিত সাংবাদিকরা পলককে উদ্দেশ্য করে জানতে চান- ‘পালক ভাই! কেমন আছেন?’ জবাবে তিনি বলেন, ‘দোয়া করবেন ভাই। বোবা হয়ে আছি, বোবা!’
পরে আবারো তাকে জিজ্ঞেস করা হয়- কেমন আছেন? তখন তিনি বলেন, ‘আপনারা মুক্ত আছেন তো, আমরা বোবা।’ সেই সাথে হাতের একটি আঙ্গুল মুখে চেপে ধরে সবাইকে চুপ থাকার ইঙ্গিত করেন। পরে ধীরে ধীরে হেঁটে তিনি প্রিজন ভ্যানে গিয়ে ওঠেন।
পলক প্রিজন ভ্যানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের কেউ একজন ইন্টারনেট নিয়ে তাকে ট্রল করেন। বলতে থাকেন, ‘পলক ভাই! ইন্টারনেট কি সচল আছে!’তবে প্রিজন ভ্যানে উঠে তিনি কোনো কথা বলেননি। পরে তাকে নিয়ে প্রিজন ভ্যানটি কারাগারের উদ্দেশে রওয়ানা করে।
পলককে বের করার মিনিট-পাঁচেক পর সাবেক বিমানমন্ত্রী ফারুক খান, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, শেখ হাসিনার সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক এলাহী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।
জুলাই গণহত্যা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনকালে ১৫ বছরে মানবতাবিরোধী অপরাধসহ বিভিন্ন অপরাধে দায়ের হওয়া পৃথক দুটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আসামির সংখ্যা ৪৬ জন। এর মধ্যে ১৬ আসামিকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল৷