উৎসব মুখর পরিবেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধন ও ঐশ্বর্য্যরে অধিষ্ঠাত্রী দেবী শ্রী শ্রী লক্ষ্মী পূজা বা কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা উদযাপিত হয়েছে। বাঙ্গালী হিন্দুদের ঘরে ঘরে এই পূজার আয়োজন করা হয়। শারদ পূর্ণিমা অর্থাৎ আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথির এ দিনটিতে বিশেষ আনন্দ ও উৎসাহের সাথে মা লক্ষ্মীর পূজা ও আরাধনা করা হয়।
পঞ্জিকা মতে, বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত ৯টা ১২ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শুরু হয়। যা আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৫টা ২৬ মিনিটে শেষ হবে। বুধবার রাতে ভক্তরা মা লক্ষ্মীর পূজার আয়োজন করে। লক্ষ্মী দেবীর পূজা উপলক্ষে হিন্দু নারীরা উপবাস ব্রত পালন করেন। বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপের পাশাপাশি সবার ঘরে ঘরে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়ন করেন। পূজা-অর্চনার পাশাপাশি ঘর-বাড়ির আঙ্গিনায় আকাঁ হয়, লক্ষ্মী দেবীর পায়ের ছাপ আল্পনা। এই দিনে ভক্তরা মা লক্ষ্মীর কাছে তাদের আয় উন্নতির জন্যও প্রার্থনা নিবেদন করেন।
সারাদেশের প্রতিটি হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে মা লক্ষ্মী পূজা সাড়ম্বরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শাস্ত্র মতে, মা লক্ষ্মী খুব অল্পেতেই সন্তুষ্ট- কিন্তু উপযুক্ত নিয়মাবলী ও কিছু বিধিনিষেধ মেনে দেবীকে আহ্বান জানাতে হয়। তাই রীতি অনুযায়ী, এই দিনে বাঙালি হিন্দু গৃহবধুরা পূজা শেষ না হওয়ার পর্যন্ত উপবাস থাকেন। পূজা শেষে লক্ষ্মীর পাঁচালী পাঠ করেন। রাজধানী থেকে শুরু করে সারাদেশে প্রতিটি হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরের আঙ্গিনায় লক্ষ্মীর পায়ের ছাপে আল্পনা আঁকা এবং মোমবাতি প্রজ্জ্বলনও করেন তারা।
২০০ বছর পূর্ব থেকে গুণ পরিবারের বংশ-পরম্পরায় এ বাড়িতে লক্ষ্মী পূর্ণিমার ছাড়ন্ত দিন হতে দুই দিনব্যাপী শ্রীশ্রী হরি পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। পূজায় পুরোহিত্য করে আসছেন হেমেন্দ্র চক্রবর্তীর পিতামহ হতে আরম্ভ করে বর্তমানে তাঁর পুত্র রতন চক্রবর্তী। বর্তমানে গুণ পরিবারের প্রয়াত কানাইলাল গুণের পুত্র তপন কুমার গুণ, কাশিনাথ গুন, মানস কুমার গুণ এবং প্রয়াত কেশব গুণের ছেলে অনন্ত গুণ দীপ এ পূজার আয়োজন করে আসছে। শ্রী শ্রী হরি পূজা উপলক্ষে গুণ পরিবারের পক্ষ থেকে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।