জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। তাই ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দিলে দেখা যেতে পারে সামাজিক অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার।
সোমবার (২১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম (বিইউপিএফ) আয়োজিত একটি মানববন্ধনে বক্তারা এই কথা বলেন।
বাংলাদেশের সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অপসারণ না করার দাবিতে বক্তারা বলেন, গত ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বৈরাচারী সরকার রাজনৈতিক দলের প্রতীক দিয়ে প্রাচীন এ প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে বিইউপিএফ এর আহ্বায়ক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে অর্ন্তবর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা অজ্ঞাত কারনে প্রাচীন এই জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানটি ভেঙে দেওয়ার অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
এই কাঠামো ভেঙ্গে আমলাতান্ত্রিক উপায়ে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করলে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ আশাহত হবেন। পাশাপাশি দেখা যেতে পারে সামাজিক অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা।
৫ই আগষ্ট পরবর্তীতে বিশৃঙ্খলা ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি হয়েছিল, সে সময় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও চেয়ারম্যানরা অর্ন্তবর্তী সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিয়েছেন। তবে যে সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। কিন্তু এ অবস্থায় সব ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দিলে জনপ্রিয় অর্ন্তবর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে এবং জনমনে অসন্তোষ দেখা দেবে।
ইউনিয়ন পরিষদের বহাল দাবিতে বিইউপিএফ ৩০শে অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিটি জেলা-উপজেলায় সমাবেশ এবং ডিসি, ইউএনওর কাছে স্বারকলিপি প্রদান এবং নভেম্বর মাসে ঢাকায় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মহাসমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দেন।