ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। শুকনো পাতা ঝরে জন্ম নিয়েছে নতুন কচি পাতার। আজ সেই পত্রপল্লবে, ঘাসে ঘাসে, নদীর কিনারে, কুঞ্জ-বীথিকা আর পাহাড়ে অরণ্যে বসন্ত এসেছে নবযৌবনের ডাক দিয়ে। ছড়িয়ে দিয়েছে রঙের খেলা।
বসন্তকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বসন্ত বরণের বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। ২২৫ জন নৃত্যশিল্পীর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বসন্ত বরণের আয়োজন করেছে সংস্থাটি।
বসন্তের বন্দনা আছে কবিতা, গান, নৃত্য, চিত্রকলায়। বাংলা পঞ্জিকা বর্ষের শেষ ঋতু বসন্তের প্রথম দিনকে বাঙালি পালন করে ‘পহেলা ফাল্গুন-বসন্ত উৎসব’ হিসেবে। বাঙালির নিজস্ব সার্বজনীন প্রাণের উৎসবে।
বাঙালির জীবনে এ উৎসবটির একটি ঐতিহ্যময় ইতিহাস আছে। আছে প্রকৃতি আর মানব প্রেমের অপূর্ব সম্মিলনের ঐতিহ্য।
আবাল-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী বসন্ত উন্মাদনায় আজ মেতে উঠবে। শীতকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়েই বসন্ত বরণে চলবে ধুম আয়োজন। শীত চলে যাবে রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসবে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তি ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরাজীর্ণ।
বসন্তের আমোদনে ফাগুনের ঝিরিঝিরি হাওয়া, রক্তিম পলাশ, শিমুল, কাঞ্চন পারিজাত, মাধবী, গামারী আর মৃদু গাঁদার ছোট ছোট ফুলের বর্ণিল রূপে চোখ জুড়াবে। নকলা বাইপাস বীজ, শ্যামলী পার্ক, ডিসি লেক, সবুজ প্রাঙ্গণ ফুলে ফুলে বর্ণিল, উচ্ছল-উজ্জ্বল হয়ে উঠে ফাল্গুন এলে বাসন্তি হাওয়ায়। বসন্ত তারুণ্যেরই ঋতু, তাই সবারই মনে বেজে ওঠে, কবির এ বাণী- ‘বসন্ত ছুঁয়েছে আমাকে। ঘুমন্ত মন তাই জেগেছে, পয়লা ফাল্গুন আনন্দের দিনে’।